দিল্লীতে করোনায় মৃত এক স্বর্ণ ব‍্যবসায়ীর পরিবারের সাথে সৌজন‍্য সাক্ষাৎ করলেন মন্ত্রী অসীমা পাত্র

10th June 2020 7:04 pm হুগলী
দিল্লীতে করোনায় মৃত এক স্বর্ণ ব‍্যবসায়ীর পরিবারের সাথে সৌজন‍্য সাক্ষাৎ করলেন মন্ত্রী অসীমা পাত্র


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : দিল্লিতে করোনাতে মৃত এক স্বর্ণ ব্যাবসায়ীর বাড়িতে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন হুগলীর  ধনেখালির বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অসিমা পাত্র। বুধবার দুপুরে হুগলীর দাদপুর থানার সেকেন্দ্রাপুর গ্রামে মৃত পরেশ কর্মকারের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন ও তার পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। জানা গেছে , পরেশবাবুর দিল্লিতে সোনার দোকান রয়েছে। স্ত্রী, এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান কে নিয়ে দিল্লিতে থাকতেন। গত ৪ঠা জুন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে দিল্লিতে মৃত্যু হয় তার। পরিবারের অভিযোগ, সময়মত দিল্লির মত দেশের রাজধানীতে তার কোনো চিকিৎসা  পর্যন্ত হয়নি। এরপর গত দুদিন আগে তার পরিবার দিল্লি থেকে ফিরে গ্রামের বাড়িতে এসে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। মন্ত্রী অসিমা পাত্র পরিবারকে আশ্বস্ত করে বলেন, এই সংকটময় পরিস্থিতির সময়ে তাদের পাশে রয়েছেন। পরিবার কোনও অসুবিধায় পড়লে তাকে জানানোর জন্য মন্ত্রী তার নিজস্ব ফোন নম্বর দেন।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।